ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সাভার আশুলিয়ার বাইপাইল ইউনিকে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত "আবুল হাশেম ফাউন্ডেশন" কর্তৃক পরিচালিত অত্র অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ । প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সফলতার সাথে সকল কার্যক্রম করে আসছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি একটি আদর্শ ও সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের অন্যান্য নামিদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এর গৌরবময় অবস্থানে উন্নীত করতে সমর্থ হয়েছে। সাভারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়, ৭৫১ খ্রিস্টাব্দের পূর্বেও নামটি বিশ্ব মানবতার নিকট পরিচিত ছিল বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে। বর্তমানকালেও অঞ্চলটি সমগ্র বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তার সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রথম ‘রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (DEPZ)’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ভাগ্যের অন্বেষণে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সমাগম ঘটে আশুলিয়ায়। শুধুমাত্র আশুলিয়া থানার স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নেই প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ লোকের বাস। বিপুল জনসংখ্যা ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল গুণগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব। অঞ্চলটিতে গুটিকতক মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সবার সন্তানদের ভর্তি করার ইচ্ছা থাকলেও তাদের মেধা ও জ্ঞান ভিত্তিক সামর্থ্য নেই। এছাড়াও অত্র অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ কর্মজীবী হওয়ার বাসায় তাদের সন্তানকে রেখে যেতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ফলে মানসম্মত শিক্ষার অভাবে এ অঞ্চলের মানুষ দেশের টেকসই উন্নয়নের মূলস্রোতে নিজেকে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছিল। এমতাবস্থায় এলাকা তথা সমগ্র দেশের মানুষের স্বপ্নপূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি বিভাগে পূর্বে কর্মরত ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী “জনাব মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ” এর একক প্রচেষ্টায় ২০০৯ সালে গড়ে উঠে অত্র অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ”। সাধারণ ধারার পাশাপাশি এ অঞ্চলে সর্ববৃহৎ “আবাসিক সুবিধা” সম্বলিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি সবার নিকট গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশব্যাপী বিদ্যালয়গুলো মধ্যে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সূচনা লগ্ন থেকেই দেশপ্রেমিক, সৎ, আদর্শ ও নিষ্ঠাবান আলোকিত মানুষ গড়ার ব্রত নিয়ে প্রতিটি কার্যক্রম সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পালন করে আসছে। ফলশ্রুতিতে এই প্রতিষ্ঠানটির বহু শিক্ষার্থী নিজ মেধা, যোগ্যতা ও মননশীলতায় দেশ-বিদেশে আজ সু-প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য বজায় রাখা এবং সমৃদ্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত প্রত্যেক শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীগণ সংকল্পবদ্ধ ও সদা প্রস্তুত। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে “৩টি ভবন” রয়েছে। ‘প্রধান ক্যাম্পাসে’ ছেলে এবং মেয়েদের জন্য পৃথক ভবন ও বাইপাইল ‘বসুন্ধরা ভবন’ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।