College Rules & Regulation

অত্র কলেজের সকল শিক্ষার্থীকে নিন্মোক্ত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে:

  • সকল ছাত্র-ছাত্রীকে নিজ নিজ ধর্মের বিধি-বিধান যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
  • মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের যথাযথ সম্মান করবে ও শ্রদ্ধা-ভক্তি দেখাবে।
  • সত্যবাদী হতে হবে, সৎ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিশতে হবে মনে রাখতে হবে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ এবং অন্যায় ও অসত্যকে ঘৃণা করতে হবে।
  • পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হতে হবে। কারণ সফলতা অর্জনে এর কোন বিকল্প নেই।
  • নির্ধারিত কলেজ ইউনিফর্ম ছাড়া কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন অবস্থাতেই কলেজ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • কোন প্রকার খেলার সামগ্রী, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে কোন ছাত্র-ছাত্রী কলেজে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • সিঁড়ি দিয়ে নামা বা উঠার সময় কোন ছাত্র-ছাত্রী হৈ চৈ করতে পারবে না। নির্দিষ্ট সিড়ি ব্যতিত অন্য সিড়ি কোনো অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না।
  • টিফিন পিরিয়ডের পর ওয়ার্নিং ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে সকল ছাত্র-ছাত্রী অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।
  • ছুটির ঘণ্টা বাজার পর সকল ছাত্র-ছাত্রীকে নিঃশব্দে সারিবদ্ধভাবে সিঁড়ি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করতে হবে। লাইন ভেঙ্গে হুড়োহুড়ি করে নামা যাবে না। আগে আবাসিকের ছাত্র-ছাত্রীরা সিঁড়ি দিয়ে সারিবদ্ধভাবে উপরে উঠবে এবং অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রীরা নিচে আসবে। তাদের সাথে ছুটির সময় যেই বিষয় শিক্ষক ছিলেন তিনিও নিচে আসবেন। শিক্ষক নিচে কমপক্ষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। যাতে অভিভাবকের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারেন অথবা শুনতে পারেন।
  • কলেজ চলাকালীন সময় টিফিন পিরিয়ড ব্যতিত অন্য কোন সময়ে কোন ছাত্র-ছাত্রী শ্রেণিকক্ষের বাইরে বা অন্য কোন ফ্লোরে যেতে পারবে না।
  • ক্লাশ চলাকালীন সময় কোন ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ের অন্যকোনো ফ্লোরে যেতে পারবে না।
  • এক শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী কোন অবস্থাতেই অন্য শ্রেণিতে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • পাঠ সংক্রান্ত উপকরণ ছাড়া অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় কিছু বহন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীরা বিনা কারণে নিজের আসন ছেড়ে উঠে যাবে না এবং অযথা ঘোরা ফেরা করবে না। এমনকি উচ্চস্বরে কথা-বার্তা বা হৈ চৈ করবে না।
  • শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সু-সজ্জিত রাখা ছাত্র-ছাত্রীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
  • স্কুলের সম্পদ কেউ নষ্ট করতে পারবে না, কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে তাৎক্ষণিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, স্কুলের সম্পদ আমার নিজের সম্পদ।
  • প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পদের ক্ষতি সাধন করলে তার যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ যে ছাত্র/ছাত্রী করেছে তা সে দিতে বাধ্য থাকবে।
  • শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল, টয়লেট অথবা স্কুলের কোন দেওয়ালে, দরজায় বা জানালায় কোন কিছু লিখলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি জানালা দিয়ে কোন খাদ্যবস্তু বা অন্যকোন যে কোন ধরণের বস্তু বাইরে ফেললেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • ক্লাস শুরুর বা ক্লাস পরিবর্তনের ঘণ্টা বাজার পর ২/৩ মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ না করলে ক্লাশ মনিটর সাথে সাথে কলেজ কোর্ডিনেটর মহোদয়কে জানাবে।
  • শ্রেণির নির্ধারিত পাঠ আগে ভাগে বাড়ি থেকে রিডিং পড়ে আসতে হবে এবং শ্রেণিতে শিক্ষকের পাঠদান মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং প্রশ্ন করে ভালভাবে বুঝে নিতে হবে। কোন সমস্যা থাকলে সম্মানের সাথে পুনরায় বুঝিয়ে দিতে শিক্ষককে অনুরোধ করতে হবে।
  • সকল ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্যই মনে রাখবে যে, যে কোন পাঠের শেষে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। পরীক্ষার সকল উত্তরপত্র সংরক্ষণ করে প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার শেষে উপাধ্যক্ষ/শাখা প্রধান মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করা লাগতে পারে এজন্য সেগুলো যত্ন করে তুলে রাখবে।
  • তাৎক্ষণিক পরীক্ষা সাপ্তাহিক পরীক্ষা হিসেবে গৃহীত হবে। এজন্য তাৎক্ষণিক পরীক্ষা/ সাপ্তাহিক পরীক্ষার জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী কমপক্ষে ৮টি A4 সাইজের অফসেট কাগজের সিট (নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল নং, বিষয়, তারিখ লিখে) কলেজ ব্যাগে প্রতিদিন মজুদ রাখতে হবে।
  • প্রতি পিরিয়ডের পাঠদানের তথ্য, তত্ত¡ বা মর্মকথা অবশ্যই ডাইরীতে লিখে নিতে হবে।
  • স্কুলের সকল পরীক্ষায় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর নিয়মিত অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
  • কোন ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি ৮৫% (আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৯০%) এর কম হলে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাকে পরীক্ষায় (সাময়িক ও বার্ষিক) অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
  • পরীক্ষার হলে কথা-বার্তা বলা বা আসন পরিবর্তন করা যাবে না। পরীক্ষায় যে কোন অসদুপায় অবলম্বন করলে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হবে।
  • ছুটির পরে কোন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনে দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধূলা করবে না। কলেজ ছুটির পর ১৫ মিনিটের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী স্কুল ত্যাগ না করলে যদি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে সেজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবে না।
  • ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে" এই মর্ম বাণী মনে রেখে সকল ছাত্র-ছাত্রী নিজের কাজ করবে।

সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধসমূহ :

  • ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক অবশ্যই ‘দৈনিক পাঠ বিবরণী’ বইয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় পাতায় নিজের পরিচিতি ও নমুনা লিপিবদ্ধ লিপিবদ্ধ করবেন।
  • প্রতিদিন আপনার সন্তান/পোষ্য, কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পর সেদিন সুবিধামত সময়ে শ্রেণিতে কী পড়ানো হয়েছে তা Dairy দেখে নিশ্চিত হউন এবং সার্বিক কার্যক্রম তদারকী করে সন্তানের দৈনিক পাঠ তৈরিতে অবদান রাখুন।
  • আপনার সন্তান/পোষ্য ঠিক সময়ে কলেজে হাজির হয় কিনা এবং কলেজ ছুটির পর ঠিক সময়ে বাসায় ফেরে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
  • নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোতে আপনার সন্তান/পোষ্য নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে কিনা এবং পরীক্ষাগুলোতে আশানুরূপ ফল করতে পারছে কিনা এ বিষয়ে যত্নবান হউন।
  • কলেজে সকল পরীক্ষার উত্তরপত্র অভিভাবকের দেখানোর জন্য নির্ধারিত তারিখে ছাত্র-ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সুতরাং প্রত্যেক অভিভাবককের দায়িত্ব হল সে উত্তরপত্র দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
  • ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে যে কোন বিষয়ে আলোচনার জন্য কলেজ থেকে আমন্ত্রণপত্র পেলে নির্ধারিত দিনে ও সময়ে স্কুলে উপস্থিত হয়ে যোগ্য অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করুন।
  • যে সকল অভিভাবক তাদের সন্তানদের কলেজে পৌছে দেন তারা কলেজের গেটে তাদের পৌছে দিয়ে অনুগ্রহপূর্বক সেখানে অবস্থান না করে চলে যান। কোন অবস্থাতেই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবেন না।
  • কলেজ ছুটির পর ১৫ মিনিটের মধ্যে অবশ্যই আপনার সন্তানকে নিয়ে যাবেন। অন্যথায় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না।
  • কোনো কারণে কোন ছাত্র-ছাত্রী একদিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবক নিজে এসে দরখাস্ত দিয়ে ছুটি অনুমোদন করিয়ে নিবেন।
  • প্রতিমাসের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে আপনার সন্তান/পোষ্যর বেতনসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করুন। জরিমানাসহ বেতন পরিশোধ আমাদের কাম্য নয়। পর পর দুই মাস বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ছাত্র-ছাত্রীর নাম কাটা যাবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে ভর্তি হতে হবে। কোন অযুহাতে এই নিয়মের কোন ব্যতিক্রম ঘটানো যাবে না।
  • প্রত্যেক সাময়িক পরীক্ষার পর Progress Report দেখে স্বাক্ষর করুন।
  • কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন শ্রেণিতে ফেল করলে পুনরায় সেই ক্লাশে পড়তে চাইলে ফলাফল ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে আবেদনসহ পুনঃভর্তি হতে হবে। পুনঃভর্তি অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীর সন্তোষজনক আচরণের উপর নির্ভরশীল।
  • আপনার সন্তান/পোষ্য যাতে প্রতিদিন নির্ধারিত এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে আসে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
  • আপনার সন্তান/পোষ্যকে খারাপ পরিবেশ ও অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে রাখুন এবং এর জন্য যথাযথ ভূমিকা আপনাকেই পালন করতে হবে।
  • কোন অভিভাবক বিশেষ প্রয়োজনে ভাইস প্রিন্সিপাল বা প্রিন্সিপাল এর সাথে দেখা করতে চাইলে তা নির্ধারিত সময়ে পূর্বানুমতি সাপেক্ষে করুন। সাক্ষাতে কোন ধরনের অসৌজন্য আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা সবার নিকট অতি পবিত্র। সুতরাং হৈ চৈ করে এ পবিত্র স্থানের পরিবেশ বিষময় করবেন না।
  • অভিভাবক ও শিক্ষকের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীর পাঠোন্নতি, জীবনের সফলতা ও সুন্দর চরিত্র গঠন সম্ভব। এটা মনে রেখে কাজ করতে হবে।
  • ‘‘শিক্ষক শিক্ষার্থীর মানস পিতা” এ কথা বিবেচনায় রেখে আপনার সন্তানের সার্বিক বিকাশের লক্ষে শিক্ষকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন। কোন ধরনের হীনমন্যতার পরিচয় দান করবেন না।
  • যথাযথ প্রয়োজন ছাড়া কলেজ প্রাঙ্গনে অপেক্ষা করা বা অফিসে প্রবেশ করা বা অফিসে অপেক্ষা করা থেকে বিরত থাকুন।
  • যার যার অর্পিত দায়িত্ব সেই সেই পালন করুন এবং সার্বিক পরিবেশ সুন্দর রাখতে সহায়তা করুন।